জাতির শ্রেষ্ট সন্তান মৃত্যুর পরও দুর্নীতিবাজদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি !
নান্দাইলে টিআর ও জিআর প্রকল্পের নামে তেলেসমাতি কারবার !!
স্টাফ রিপোর্টার ● নান্দাইল নিউজ
ময়মনসিংহের
নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা
কমর উদ্দিন সরকার মারা
গেছেন ২০১৪ সালের ৩
এপ্রিল। মৃত্যুর
পরও জাতির এই শ্রেষ্ট
সন্তান দুর্নীতিবাজদের হাত থেকে রক্ষা
পাননি। মৃত্যুর
দুই বছর পর গ্রামীণ
অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) এর সরকারী
অর্থ মুক্তিযোদ্ধা কমর উদ্দিন সরকারের
নামে হাতিয়ে নিয়েছে একটি
দুর্নীতিবাজ চক্র।
অনুসন্ধানে
বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সূত্রে
জানা যায়, উপজেলার শিবনগর
মসজিদের কাছে একটি বক্স
কালভার্ট নির্মাণের নামে একটি টিআর
প্রকল্পের চেয়ারম্যান কমর উদ্দিন সরকার। ছবিযুক্ত
উক্ত কমিটিতে তিনি স্বাক্ষরও করেছেন। এই
কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিংদই
কোনাঘাটা গ্রামের মো. আসিফুল ইসলাম। তার
বাবার নাম মৃত মোসলেম
উদ্দিন। এই
কমিটির অনুমোদিত হয়ে বরাদ্ধকৃত ২৯
হাজার ১৭৮ টাকা ৫৯
পয়সা কথিত চক্রটি উত্তোলনও
করে নিয়ে গেছে।
২০১৬
সালের উল্লেখিত প্রকল্পে ময়মনসিংহ-৯ এর জাতীয়
সংসদ সদস্য, উপজেলা নির্বাহি
অফিসার মোহাম্মদ শাহানুর আলম ও উপজেলা
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এ,বি,এম
সিরাজুল হকের স্বাক্ষর রয়েছে।
এর
পূর্বে উপজেলার রায়পাশা গ্রামের শ্রীমতি ফুলমতি ও তার
ছেলে চন্দনকে মুসলিম ধর্মীয় ওয়াজ
মাহফিলের জন্যে আলাদাভাবে ৩
মেট্রিক টন করে মোট
৬ মেট্রিক টন জিআর চাল
বরাদ্ধ দেয়া হয়।
এই বরাদ্ধকৃত চাল উত্তোলনের অনুমোদন
দেন ময়মনসিংহ-৯ এর জাতীয়
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন
খান, উপজেলা নির্বাহি অফিসার
মোহাম্মদ শাহানুর আলম ও উপজেলা
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এ,বি,এম
সিরাজুল হক। অপরদিকে,
উপজেলার মহাবৈ গ্রামের শ্রী
লক্ষন চন্দ্র সিংকে মানবিক
সহায়তা কর্মসূচীর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির আওতায় সভাপতি
হিসেবে প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।
অন্যদিকে একই ছবিযুক্ত ওই
ব্যক্তিকে হরিপুর গ্রামের আসাদ
মিয়া নামে মানবিক সহায়তা
কর্মসূচীর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির আওতায় সভাপতি
হিসেবে একটি কমিটির অনুমোদন
দেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার
ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন
কর্মকর্তাসহ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান।
পরপর দুইটি কমিটিতে শ্রী
লক্ষন চন্দ্র সিংকে হিন্দু
হিসেবে দেখানো হলেও অন্য
প্রকল্পে তাকে মুসলিম হিসেবে
আসাদ মিয়া নামে প্রকল্প
দেয়া হয়। তিনটি
প্রকল্পে মধ্যে একজনের ছবি
ব্যবহার করা হয়েছে।
নামে
বেনামে এ ধরণের কমিটির
নামে সরকারী অর্থ হাতিয়ে
নেয়ার বিষয়ে স্থানীয়ভাবে ব্যাপক
আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমেও এ নিয়ে মিশ্র
প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এ
বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ
সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম
বলেন, আওয়ামীলীগ মনোনীত সাংসদ হয়েও
তিনি মূল দলের লোকজনকে
বঞ্চিত করে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি করে নিজে লাভবান
হয়েছেন। এমনকি
দলের মধ্যে ভাঙ্গনের চেষ্ঠা
করেছেন।
এরমধ্যে
উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোহাম্মদ শাহানুর
আলম অন্যত্র বদলি হয়ে চলে
গেছেন। জানতে
চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন
কর্মকর্তা এ,বি,এম
সিরাজুল হক সময়ের আয়নাকে
বলেন, ভুলত্রুটির উর্ধ্বে কেউ নয়, তবে প্রকল্পটি
কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলে
তিনি দাবি করেন।
(প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,
অনুমতি ছাড়া
‘নান্দাইল নিউজ’-এর ওয়েবসাইটের
কোন লেখা
বা ছবি
নকল করা
বা অন্য
কোথাও প্রকাশ
করা সম্পূর্ণ
বেআইনি। ‘ সময়ের আয়না’ ফেসবুক
আইডি আমাদের
সহযোগি সামাজিক
গণমাধ্যম। তবে ‘নান্দাইল
নিউজ’- এর
প্রিয় পাঠকগণ
যে কোন
নিউজ ও
ছবি ফেসবুকে
শেয়ার করলে
কোন আপত্তি
থাকবে না)