নান্দাইলে ভূয়া ঠিকানায় সি,এইচ,সি,পি,পদে চাকুরির
অভিযোগ \ তদন্ত কমিটি গঠিত
নান্দাইল নিউজ রিপোর্টঃ
‘কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার’ (সিএইচসিপি) পদে চাকরির শর্ত হচ্ছে প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দা হতে হবে। কিন্তু ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের হালিউরা কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিকে ভূয়া ঠিকানা ব্যবহার করে চাকুরি হাতিয়ে নিয়েছেন জনৈক তাহমিনা আক্তার। এই বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে।
এই তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন ময়মনসিংহের ডেপুটি সিভিল সার্জন (ডিসিএস) সঞ্জীব চক্রবর্তী , নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আবুল কাশেম ও আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডাঃ কর্মকর্তা মোঃ তাজুল ইসলাম খান।
তদন্ত কমিটির সদস্য নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ তাজুল ইসলাম খান নান্দাইল নিউজকে বলেন, ‘গত ১৫ মার্চ থেকে কমিটি অভিযোগের সত্যতা যাচাই বাছাই করছে। কাগজপত্র ও সরজমিন তদন্তে প্রকৃত ঘটনা শিগগিরই জানা যাবে’।
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে সোমাইয়া সুলতানা ও তাহমিনা আক্তারের পৃথক সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত তাহমিনা আক্তারের দাবি তিনি স্বামীর পৈতৃক ঠিকানা ব্যবহার করে চাকুরি নিয়েছেন। তাকে বলা হয়েছে এর স্বপক্ষের সকল কাগজপত্র তদন্ত কমিটির কাছে জমা দেওয়ার জন্য’।
তিনি আরও বলেন, ওই পদের প্রার্থী হিসেবে গত ২৪-১২-২০১০ইং তারিখে লিখিত পরীক্ষায় আমি অংশ নেই। পরীক্ষার ফলাফলে উত্তীর্ণ হই। আমার ইউনিয়নে অবস্থিত বনগ্রাম ও হালিউরা কমিউনিটি ক্লিনিকের দুটি পদের বিপরীতে আমিসহ মোট ছয়জন প্রার্থীকে বিবেচনার জন্যে চুড়ান্ত তালিকায় রাখা হয়। কিন্তু আমার চাকুরি না হলেও হোসেনপুর উপজেলার বাসিন্দা হয়েও তাহমিনা আক্তার প্রকৃত তথ্য গোপন করে ও ব্যাপক জালিয়াতির মাধ্যমে ওই পদে নিয়োগ পান। তার বর্তমান কর্মস্থল নান্দাইলের খারুয়া ইউপির হালিউরা কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিক।
সোমাইয়া সুলতানা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পরিচালকের কাছে জালিয়াতির বিষয়টি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।