শিশুটি কি রোহিঙ্গা ?
স্টাফ
রিপোর্টার ● নান্দাইল
নিউজ
মা
কোথায় জানতে চাইলে শিশুটি
গলায় হাত দিয়ে দেখায়
জবাই করা হয়েছে।
বাবার কথা জিজ্ঞেস করলে
মুখে গাড়ি চালানোর বু
বু শব্দ করে।
বটি (দা) দেখলে ঘরের
ভিতর গিয়ে লুকায়।
জলাশয় দেখলেও শিশুটি ভয়
পায়। এমন
এক শিশুকে রোহিঙ্গা শিশু
মনে করে তাকে দেখতে
ময়মনসিংহের নান্দাইল ও ঈশ্বরগঞ্জ সীমানা
লাগোয়া মহেষচাতুল গ্রামে ভিড় করছে
মানুষ।
শিশুকে
নান্দাইল উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের চামারুল্লা বাজারে রবিবার নিয়ে
আসেন ফজলুর হক নামে
স্থানীয় এক ব্যক্তি।
রোহিঙ্গা শিশু জানতে পেরে
বিপুল সংখ্যক মানুষ তাকে
দেখতে জড়ো হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে
জানা যায়, ফজলুল হকের
মেয়ের জামাই আইনুল হক
শিশুটিকে আশুগঞ্জের গোলচত্বরের সাহেব কাচারী মোড়ে
প্রায় ২০দিন আগে দেখতে
পান। শিশুটির
দুরবস্থা দেখে আইনুল তাকে
নিজের বাসায় নিয়ে যান।
আইনুল
পেশায় রিকশা চালক।
তার এক ছেলে ও
তিন মেয়ে রয়েছে।
আইনুলের বাড়ি ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার
লক্ষ্মীগঞ্জ এলাকায়। তিনি
আশুগঞ্জের পুড়াগুদাম গাঙ্গেরপাড় এলাকায় পরিবার নিয়ে
বসবাস করেন। আইনুলের
স্ত্রী রাবিয়া খাতুন সপ্তাহখানেক
শিশুটিকে নিয়ে মহেষচাতুল গ্রামে
বাবার বাড়ি বেড়াতে আসেন। শিশুটির
আনুমানিক বয়স ছয় বছর। তার
হাতে থাকা একটি ১০
টাকার নোট দেখতে পাওয়া
যায়। এটি
কি জানতে চাইলে শিশুটি
কিছুক্ষণ নীরব থেকে বলে
'পাতা'।
রাবিয়া
খাতুন বলেন, 'শিশুটি আতঙ্কিত
থাকে সব সময়।
আমার সন্তানদের সাথে থেকে কিছুটা
স্বাভাবিক হয়েছে। পাওয়ার
সময় ছেলেটি কিছুই বলতে
পারতো না। শুধু
ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে
থাকতো। এখন
ভাইয়া বলতে শিখেছে।
আমরা তাকে সুমন নাম
দিয়েছি।'
রিকশাচালক
আইনুল হক বলেন, 'আমি
গরীব মানুষ। নিজের
পরিবারের খরচ চালাতেই হিমশিম
খাই। তারপরও
শিশুটির দুরবস্থা দেখে মনে খুব
কষ্ট লাগলো। সহযোগিতায়
কেউ এগিয়ে না আসায়
মানবিক কারণে আমি তাকে
নিয়ে এসেছি।'
(প্রসঙ্গত
উল্লেখ্য, অনুমতি ছাড়া ‘নান্দাইল
নিউজ’-এর ওয়েবসাইটের কোন
লেখা বা ছবি নকল
করা বা অন্য কোথাও
প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। ‘সময়ের
আয়না’ ফেসবুক আইডি আমাদের
সহযোগি সামাজিক গণমাধ্যম। তবে
‘নান্দাইল নিউজ’-এর প্রিয়
পাঠকগণ যে কোন নিউজ
ও ছবি ফেসবুকে শেয়ার
করলে কোন আপত্তি থাকবে
না)