স্টাফ রিপোর্টার ● নান্দাইল নিউজ
আজ
বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার লংগারপাড় বাজারের তিনটি দোকানে লুকিয়ে রাখা খাদ্যবিভাগের
ছাপ মারা ২৬ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে প্রশাসন। উদ্ধারকৃত চালগুলো চলমান খাদ্যবান্ধব
কর্মসূচির বলে সনাক্ত করেছে খাদ্য অধিদপ্তর।
সরেজমিনে
ওই বাজারে গিয়ে দেখা যায়, উদ্ধারকৃত চালের বস্তার গায়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
কর্তৃক হতদরিদ্রদের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি কথাটি লেখা রয়েছে। এ ঘটনায় কাপড়ের দোকানী
হাবিবুর রহমান (৪৫), খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির লংগারপাড় বাজারে ডিলার আকলিমা আক্তার ও
তাঁর স্বামী শফিকুলকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয়
সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের লংগারপাড় বাজারের হাবিবুর রহমানের
কাপড়ের দোকানের পেছনে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল মজুদ করা হয়েছে। এ খবর পেয়ে উপজেলা
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মো. তামিম আল ইয়ামীন পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে
যান। তিনি কাপড়ের দোকানের পেছনে অন্ধকারাচ্ছন্ন স্থানে ১১ বস্তা চাল রাখা আছে দেখতে
পান। সহকারী কমিশনারের জিজ্ঞাসার উত্তরে চালের বস্তাগুলো কার্ডধারীরা রেখে গেছে বলে
দোকান মালিক হাবিবুর রহমান দাবি করলেও তিনি কারও
নাম ও পরিচয় বলতে পারেননি। পরে পুলিশ তাঁকে আটক করে। হাবিবুরের কাপড়ের দোকানের
বিপরীতে অবস্থিত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার আকলিমা আক্তারের দোকান। তবে দোকানে গিয়ে
তাঁকে পাওয়া যায়নি। লোকজনকে জিজ্ঞেস করে জানা যায়, আকলিমার স্বামী শফিকুল ইসলাম আগে
ডিলার ছিলেন। অনিয়মের অভিযোগ খাদ্য অধিদপ্তর তাঁর ডিলারশিপ বাতিল করে। পরে দলীয় চাপে
শফিকুলের স্ত্রীকে ডিলার নিয়োগ করা হয়। তবে চাল বিক্রির ব্যবসায়িক কাজ তদারকি করেন
আকলিমার স্বামী মো. শফিকুল ইসলাম। তাঁর দোকানে চালের মজুদের সাথে বিক্রির গরমিল থাকার
সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে না পারায় পুলিশ তাঁকেসহ উদ্ধার করা চালের বস্তাগুলো থানায়
নিয়ে আসে। প্রশাসন চলে আসার পর খবর আসে লংগারপাড় বাজারের ব্যবসায়ী মামুন মিয়ার ঝালাইয়ের
ও হাসেমের লাকড়ির দোকানের চাল মজুদ করে রাখা হয়েছে। পরে উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক মো. আবদুল্লাহ আল ফারুক দ্রুত ওই বাজারে গিয়ে খাদ্যবান্ধব
কর্মসূচির আরও ১১ বস্তা চাল উদ্ধার করেন।
উপজেলা
খাদ্যনিয়ন্ত্রক আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, লংগারপাড় বাজার থেকে চাল উদ্ধারের ঘটনায় অভিযুক্তদের
বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া নেওয়া হবে।
নান্দাইল
মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, খাদ্যবিভাগ থেকে থানায় এজাহার
দিতে বলা হয়েছে। এজাহার হাতে এলেই মামলা রেকর্ডভুক্ত করা হবে।
(প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অনুমতি ছাড়া ‘নান্দাইল নিউজ’-এর ওয়েবসাইটের কোন লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। ‘ সময়ের আয়না’ ফেসবুক আইডি আমাদের সহযোগি সামাজিক গণমাধ্যম। তবে ‘নান্দাইল নিউজ’- এর প্রিয় পাঠকগণ যে কোন নিউজ ও ছবি ফেসবুকে শেয়ার করলে কোন আপত্তি থাকবে না)